সাহিত্য সংবাদ

ম্যান বুকার পেলেন ফ্ল্যানাগেন
অস্ট্রেলিয়ান লেখক রিচার্ড ফ্ল্যানাগেন। বেশ পরিচিত নাম। তিনিও এবার অর্থাৎ ২০১৪ সালের ম্যান বুকার পুরস্কার পেলেন। তাঁর যুদ্ধভিত্তিক 'দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ' শীর্ষক উপন্যাসের জন্য তাঁকে এই পুরষ্কার দেয়া হলো।
লন্ডনের গিল্ড হলে গত ১৫ অক্টোবর ম্যান বুকার ঘোষণা করা হয়। এই পুরষ্কারের অর্থ মূল্য পঞ্চাশ হাজার পাউন্ড।


=============
কবি নির্মলেন্দু গুণকে হাসপাতালে

কবি নির্মলেন্দু গুণ গুরুতর অসুস্থ। গত রোববার বিকেল কামরাঙ্গির চর নিজ বাসভবনে হার্ট অ্যাটাক করলে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকায় এনে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই খবরটি সাতদিনকে জানালেন কবি টিপু সাখওয়াত।

তাঁর অপবস্থার অপরিবর্তণ দেখে জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালে সেখানেই ইমার্জেন্সি ইউনিটে তার শশ্রুষা চলছে কর্তব্যরত চিকিৎসক এটি মেজর অ্যাটাক বলেই ধারণা করা হচ্ছে পরে আবারো সন্ধ্যায় তাঁকে আবার ল্যাবএইড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে


================
এবার সাহিত্য নোবেল অপরিচিত ঔপন্যাসিক মোদিয়ানো


এবার সাহিত্য নোবেল পেলেন ৬৯ বয়সী ফরাসি সাহিত্যিক প্যাত্রিক মোদিয়ানো ১৯৪৫ সালের ৩০ জুলাই প্যারিসের পশ্চিমে এক শহরতলীতে তাঁর জন্ম
১৯৬৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস লা প্লাস দো লিতোয়াইল ফ্রান্সের পাঠকদের কাছে প্যাত্রিক মোদিয়ানো একটি অতি পরিচিত নাম তাঁর অল্প সংখ্যক বই ইংরেজিতেও অনূদিত হয়েছে ফলে অন্য ভাষার পাঠকরা তার লেখার সঙ্গে খুব একটা পরিচিত হন তাঁর অনূদিত গ্রন্থগুলো হলো- রিং রোডস: অ্যা নোভেল, ভিয়া ত্রিস্তে অ্যা ট্রেস অব ম্যালিস, হানিমুন
কেবল উপন্যাস নয়, মোদিয়ানোর হাত দিয়ে শিশু সাহিত্য, এমনকি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও বেরিয়েছে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাসেররুই দে বুটিক অবসকিউর’ (ইংরেজি অনুবাদের নাম মিসিং পারসন), যে উপন্যাসের জন্য তিনি সম্মানজনকপ্রি গুনকুয়াপুরস্কার জিতে নেন তবে তিনি খুব একটা পরিচিত লেখক নন।

==================
না-ফেরার চলে গেছেন আবু শাহরিয়ার

অনুবাদককথাসাহিত্যিক আবু শাহরিয়ার ৬ অক্টোবর অপরাহ্নে চলে গেছেন না-ফেরার ভূবনে। তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় ধানমণ্ডির ইবনে-সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি শ্রবণ-প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, ভদ্র, বিনয়ী, অমায়িক মানুষ ছিলেন।

আবু শাহরিয়ার শেক্সপিয়ারেরহ্যামলেটনাটকটির বাংলা অনুবাদ করেন। এছাড়াও ‘অ্যান্টনি ক্লিওপেট্রারও অনুবাদ করেছিলেন অনুবাদের জন্যই ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। এই একাডেমীর জন্য হুমায়ুন কাদিরের জীবনীও লিখেছিলেন এবং রচনাবলিও সম্পাদনা করেছিলেন তিনিই! আবু শাহরিয়ার ‘হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার’ আয়োজক ছিলেন।

তাঁর এই নীরব মৃত্যুর খবর কোনো মিডিয়ায় আসেনি। ড ফজলুল করিমের মাধ্যমে অবগত করেন বিশিষ্ট লেখক আহমাদ মাযহার। তাঁর স্মৃতির প্রতি সাতদিনের গভীর শ্রদ্ধা। 

===========
জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার জন্মদিন

জাতিসত্তার কবি হিসাবে পরিচিত মুহম্মদ নূরুল হুদার আজ ৬৫তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার পোকখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মুহম্মদ নূরুল হুদা। কবিতার পাশাপাশি কথাসাহিত্য, মননশীল প্রবন্ধ, লোকসংস্কৃতি, নন্দনতত্ত্ব ও অনুবাদ সাহিত্যেও রয়েছে তার বিচরণ।
বাংলা একাডেমির সাবেক এই পরিচালকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- জন্মজাতি, মৈনপাহাড়, ব্যাঙকুমার, চাঁদের বুড়ো চাঁদের বাড়ি, ছোটদের বেগম রোকেয়া, ছোটদের মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ছোটদের রবীন্দ্র জীবনীসাত ভাই চম্পা, তুমি যদি জলদাস আমি জলদাসী, শুক্লা শকুন্তলা, আমি একটি খাস প্রজাপত্র চাই, শোভাযাত্রা দ্রাবিড়ার প্রতি, মাটির নিচে, কাঠ কয়লা হাজার বছর কাতর, আমরা তামাটে জাতি, বার বছরের গল্প, তেলাপোকা, ছোটদের রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশদেখা হলে একা হয়ে যাইরাজার পোশাকরবীন্দ্র প্রকৃতি ও অন্যান্য ইত্যাদি।
বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবেরঅন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নূরুল হুদা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৭ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বিশেষ সম্মাননাও লাভ করেন। এছাড়া পেয়ছেন- যশোর সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল পুরস্কার, কবি আহসান হাবীব কবিতা পুরস্কার, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, সুকান্ত পুরস্কার।
মুহম্মদ নূরুল হুদা জন্মবার্ষিকী উদযাপন পর্ষদআজ ৩০ সেপ্টেম্বর,২০১৪ জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার ৬৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ উৎসব এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রফেসর মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ এবং সভাপতিত্ব করেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি কাজী রোজী এমপি, সচিব এবং কবি কামাল চৌধুরী, প্রকাশক মফিদুল হক, বাঙলা একাডেমীর মহাপরিচালক  শামসুজ্জামান খানসহ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ।
তাকে জন্মদিনে সাতদিনের শুভেচ্ছা।

=====
সরকার আমিনের জন্মদিন

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর কবি ও দার্শনিক সরকার আমিনের জন্মদিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে অর্জন করেছেন পিএইচ. ডি ডিগ্রি। তিনি বাংলা একাডেমী উপপরিচালক পদে কাজ করছেন। তাঁর কবিতা, প্রবন্ধ ও অনুবাদ মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় পঁচিশ। উল্লেখযোগ্য বইগুলো হচ্ছেঃ কবিতা সংগ্রহ-১, আমার স্নেহের কবিতা, আগুনের কাছে অনুরোধ, কিছু পাপ করার চেষ্টা করি, বিবাহিত প্রেমের কবিতা, আড়াই হাজার বছরেরও পুরোনো চীনা দর্শন-কাব্য লাও ৎস-এর তাও তে চিং সহজিয়া পথ, যাকে খুন করার কথা তাকে দেখে হেসে ফেলি, আমাদের পোষা ট্রেন, বাংলাদেশের কবিতায় চিত্রকল্প, চার পাঁচ হাজার পিঁপড়ার দুঃখ, ব্লেড দিয়ে কেটেছিলে জল, আত্মহত্যার পরিবর্তে এক কাপ চা খাও, সত্তার সাথে কথাবার্তা, ইহকাব্য, সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, রুদ্ধশ্বাস বৈঠকের পর, দ্বিতীয় দেশ এবং একটি বৃক্ষ, WHAT MY NAME IS (আমার যেন কী নাম!) ইত্যাদি।
তাঁর স্ত্রী সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নীও কবি ও কথাশিল্পী। জন্মদিনে সরকার আমিনের জন্য সাতদিনের শুভেচ্ছা এবং কফি ও কেকপার্টি।

কবি রফিক আজাদ হাসপাতালে
অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত শনিবার তাঁকে হাসপাতালের  ভর্তি করা হয়। তিনি পপুলারে হাসপাতালের ৫০১ নাম্বার কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে। বর্তমাওনে তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে। অপর দিকে টাঙ্গালের আরেক কবি আল মুজাহিদী চিকিৎসার শেষে বাসায় ফিরে গেছেন।
=====
জ্যোতি-পূরবী দম্পতির উপন্যাসের প্রকাশনা

ষাট ও সত্তরের দশকের দুই খ্যাতিমান গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও পূরবী বসু। এ দুজন স্বনামধন্য গল্পকারলেখক দম্পতি প্রথমবারের মতো লিখেছেন দুটি উপন্যাস। জ্যোতিপ্রকাশ লিখেছেন 'শূন্য নভে ভ্রমি' আর পূরবী বসু 'অবিনাশী যাত্রা'। উপন্যাস দুটি প্রকাশিত হয়েছে অন্যপ্রকাশ থেকে।
গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে উপন্যাস দুটির প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে  উপন্যাস দুটির ওপর আলোচনা করেন অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ ও কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো

============

হুমায়ূন কবীর ঢালীর বই গ্রীসের স্কুলে পাঠ্য


শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবীর ঢালী। খুব দ্রুত আমাদের সাহিত্য ভূবনে নানা ভাবে সাড়া জাগিয়েছেন। সর্ব শেষ, গ্রীসের প্রাইমারি স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে তাঁর বই পাঠ্য হচ্ছে। যা পড়ানো হচ্ছে গত মে ২০১২ থেকে। এই নিয়ে একটি Confirmation letter পাঠিয়েছেন গ্রীসের স্টেট প্রাইমারি স্কুল অব ইয়ান্নিতসা থেকে প্রধান শিক্ষিকা ভারভারা ওসমানজিকিডো। 
তিনি তাঁর পত্রে জানিয়েছেন, "আমরা বাংলাদেশের লেখক হুমায়ূন কবীর ঢালীর লেখা 'A cowboy and A Magic Mango Tree' বইটি আমাদের স্কুলের ইংরেজি শিক্ষা বিভাগে পড়ানোর জন্য মনোনীত করেছি..."

উল্লেখ্য যে, বইটি প্রকাশ করেছে বাংলাপ্রকাশ। এমনকি এটির বাংলা অনুবাদ 'রাখাল ও জাদুর আমগাছ' বইটির প্রকাশকও বাংলাপ্রকাশ। ঢালীকে সাতদিনের অভিনন্দন!
-------------
চলে গেলেন মাসুদ বিবাগী

কবি, সাংস্কৃতিককর্মী মাসুদ বিবাগী খুব নীরবে চলে গেলেন। মিডিয়ায় কোথাও কোনো খবর বের হয়নি। কবি রেজা সেলিমের ফেইসবুকে একটা ষ্ট্যাটাস- ‘অনেক আগেই তো মরতে এতো দেরি করলা ক্যান মাসুদ?’ আর ্রুহিন হোসেন প্রিন্সের আরেকটি স্টাটাস থেকে তাঁর মৃত্যু সংবাদটা জানা গেলো। গুগোলে সার্চ দিয়েও কিছু পেলাম না।
শান্ত, ভদ্র, নিরীহ, প্রগতিশীল, সত্তর দশকের কবি মাসুদ বিবাগীর প্রথম কবিতার বই ‘কেহ মুক্ত কেহ বন্দী। বইটি বের হয়েছিল ১৯৮৪-এর অক্টোবরে ‘পাণ্ডুলিপি’ থেকে। প্রচ্ছদ করেছিল কবি লির্মলেন্দু গুণ। তার একটি কবিতার পংক্ত্ট- ‘বানের জলের মত তোমার উঠানে/কিছুদিন বসবাস ছিল।’
সাতদিন মাসুদ বিবাগীর বেদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছে।

কানাডিয়ান কবিদের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই কবি 


দুই কবি শামীম রেজা এবং শামীমুল হক শামীমের সম্মানে কানাডার ক্যারাভান লিটারেচার ম্যাগাজিনের উদ্যোগে এক কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর, রোববার স্থানীয় রয়েল ডায়াল হাউসে এই আসর অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কানাডিয়ান কবি স্কেচি, মেগান, এলেসান্দ্রো, ইওয়ান ও পিটার কবিতা পড়েন। 
এটি মূলত কানাডার মূলধারার কবিদের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই কবির আনুষ্ঠানিক পাঠ-সম্মিলন। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সমকালীন কবিদের কাব্য-পরিচয় নতুনভাবে উন্মোচিত হয়েছে।

------------
ফরহাদ-ব্রাত্য-মাহবুবদের নেতৃত্বে নভেম্বরে ঢাকা সাহিত্য সম্মেলন

এ বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা সাহিত্য সম্মেলন। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের উদ্যোগে ১১/১২ সলিমুল্লাহ রোড, মোহাম্মাদপুরে ৬ আগস্ট শনিবার একটি অনানুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এখনকার সাহিত্যের অবস্থা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। প্রতিপক্ষের আয়োজনে নভেম্বরের শুরুতেই সাহিত্য সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি বক্তৃতার মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। প্রতিবছর একজন ব্যক্তি স্মৃতি বক্তৃতাটি করবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ফরহাদ মজহার, ব্রাত্য রাইসু, মাহবুব মোর্শেদ, মোহাম্মাদ আজম, মুস্তাঈন জহির, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মোহাম্মদ রোমেল, সাঈদ জুবেরী, আলমগীর নিষাদ, মাহবুব রাহমান, ওয়াহিদ সুজন, তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ এবং আফরিনা মায়া।


=====
'কাজি  নজরুল ইসলাম সড়ক' এবং 'কে যি মুশ্তাফা'
-------------------------------------------------
আজ কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যু দিবস। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু এই বিদ্রোহী কবি কাজীকে ঢাকায় এনে ‘জাতীয় কবির’ সন্মান দেন, সুচিকিৎসা দেন, বাড়ি দেন। সেই সাথে নজরুল বিষয়ক অনেক কিছুই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকায় নজরুল ইনিষ্টিটিউট, নজরুল একাডেমী, নজরুলের মাজার থেকে শুরু করে এখন কাজী  নজরুল ইসলাম সড়ক।
আর ময়মনসিংহের ত্রিশাল কবির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের প্রথম ও একমাত্র সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় 'জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়'। নজরুল স্মৃতিবিজড়িত এ উপজেলায় রয়েছে বিচ্যুতিয়া বেপারী বাড়ি, কবিপ্রিয় শুকনী বিল, দরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। নজরুলের দুরন্ত শৈশবের নামাপাড়ার বুকে শতবর্ষী বটগাছ আজো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। নজরুলকে ত্রিশালের মানুষ কতটুকু ভালোবাসে তার প্রমাণ_ তার নামে এখানে গড়ে ওঠা অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সব কিছুর নামের আগেই তার নামটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আছে দরিরামপুরে নজরুল একাডেমী, নজরুল মঞ্চ, নজরুল ডাকবাংলো, বিচ্যুতিয়া বেপারী বাড়িতে নজরুল মিউজিয়াম, কাজীর শিমলা নজরুল উচ্চ বিদ্যালয় ইত্যাদি অনেক কিছুই। 
আজ তাঁর মৃত্যু দিবসে মনে পড়ছে 'পন্ডিত' কেজি মুস্তাফার কথা। তিনি তখন বেক্সিমকোগ্রুপ প্রতিষ্ঠিত দৈনিক মুক্তকণ্ঠের সম্পাদক। পত্রিকাটি হোল্ডিং ঠিকানা ছিলো- কাজী  নজরুল ইসলাম সড়ক। 'পন্ডিত' জি আধুনিমতার নামে- 'কাজী  নজরুল ইসলাম সড়ক'এর নাম 'ঈ-কার' (ী) না দিয়ে 'ই-কার'(ি) দিয়ে 'কাজি নজরুল ইসলাম সড়ক' প্রিন্টাস লাইনে লেখা শুরু করে। আমি তার প্রতিবাদ করে লিখেছিলাম- "আপনার নাম 'কে যি মুশ্তাফা' লিখলে কিছু আসে যায় না। কিন্তু নজরুলের নামের বিকৃতি করলে তা আসে যায়।'
কেজি মুস্তাফা সে জন্য রাহমান (শামসুর রাহমান) ভাইয়ের কাছে নালিশ করে আমার নামে বিচার দিয়েছিলেন।
===========
দুই শামীম কানাডায় আসছেন

কবি ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শামীম রেজা এবং লিটিল ম্যাগ লোকের সম্পাদক শামীমুল হক শামীম টরন্টোর ৮ম বাংলা বইমেলায় যোগ দেয়ার জন্য আগামী ২৮ আগষ্ট কানাডায় আসছেন।

ঢাকা থেকে শামীমুল হক শামীম জানান, তারা ছাড়াও আরো যারা যোগ দিবেন, তারা হচ্ছেন- দু’ই নাট্যকার অরুণ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী চয়নিকা চৌধুরী।

============
*রবীন্দ্র কুঠির সৌন্দর্য রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রিট

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়ির (রবীন্দ্র কুঠির) সৌন্দর্য রক্ষায় ওই বাড়ির কাছে গড়ে ওঠা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুই আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই রিটটি করেন।
রিট আবেদনে প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন হিসেবে কাছারিবাড়ি-সংলগ্ন সব ধরনের বেআইনি স্থাপনা অপসারণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০০৯ সাল থেকে ওই ভবন নির্মাণ বন্ধ করার জন্য প্রশাসন নোটিশ দিয়ে আসছে। প্রশাসনের ওই নোটিশের কোন তোয়াক্কা না করে কাচারিবাড়ির ১০ ফুটের মধ্যেই বেসরকারি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান পঞ্চম তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেছে।

*বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের নতুন কমিটি
বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বরেণ্য কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নাট্যকার ড. রতন সিদ্দিকী। এছাড়া কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু।
গত ৮ আগস্ট শুক্রবার সংগঠনটির প্রথম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিশেনে নবনির্বাচিত কমিটির গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে তারা নির্বাচিত হন। কাউন্সিলে মোট ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
কাউন্সিলের আগে সকালে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধক ছিলেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

* আল মুজাহিদী অসুস্থ
কবি ও সাংবাদিক আল মুজাহিদী গুরুতর অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিজি হাসপাতালের) ভিআইপি কেবিনের ৪১১ নাম্বার রুমে চিকিৎসাধীন আছেন।

* প্রথম বাংলা ওসিআর পুঁথি
বিশ্বের ৩৭ তম দেশ হিসেবে অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার (ওসিআর) তৈরি করেছে বাংলাদেশ। বাংলা অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনাইজার (ওসিআর) পুঁথি৪ সেকেন্ডে বইয়ের একটি পাতাকে ডিজিটাইজ এবং এডিটেবল করতে পারে এবং মূল টেক্সটের শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি শব্দ নির্ভুলভাবে প্রদর্শন করতে সক্ষম বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি ও কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত বাংলা লিখন পদ্ধতি বিজয়ের প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার বলেন, “কম্পিউটিংয়ে বাংলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা যে চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি মোকাবেলা করছিলাম তা হচ্ছে অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার পাওয়া, ওসিআর পুঁথিবাংলাদেশের জন্য অবশ্যই অনেক বড় ঘটনা।

* বগুড়ায় বিশ্ববাংলা কবিতা উৎসব
 মানবতা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কবিতাশীর্ষক শ্লোগানকে সামনে রেখে বগুড়ায় শুরু চলছে দুই দিনব্যাপী বিশ্ববাংলা কবিতা উৎসব-২০১৪। বগুড়া উপজেলা সদরের ঠেঙ্গামার গণগ্রন্থাগার অডিটোরিয়ামে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন টি.এম.এস.এসর নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি অসীম সাহা।
এতে যোগ দেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, রফিক আজাদ, আসাদ চৌধুরী, বেলাল চৌধুরী, তোফাজ্জল হোসেন, নুহ-উল-আলম লেলিন, রবিউল হুসাইন, আফরোজা কনা, মাহবুবা চৌধুরী, কবি আয়াত আলী পাটওয়ারী, বজলুল করিম বাহার, সাবেদ আল সাদ, মাহবুবুল আলম, মিলন সব্যসাচী, সাকিল আহমেদ, শোয়েব শাহরিয়ারসহ প্রায় দুইশকবি।

====
আজ কবি সিকান্দার আবু জাফরের মৃত্যু বার্ষিকী

'জনতার সংগ্রাম চলবেই আমাদের সংগ্রাম চলবেই জনতার সংগ্রাম চলবেই'...অথবা 'বাংলা ছাড়/ বাংলা ছাড়বি কিনা বল'...এর কবি সিকান্দার আবু জাফর ১৯১৮ সালে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। স্থানীয় স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর তিনি কলকাতার রিপন কলেজে পড়েন।
১৯৪১ সালে তিনি কাজী নজরুল ইসলামের নবযুগ পত্রিকায় যোগ দেন। দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। পঞ্চাশের দশকে রেডিও পাকিস্তানের শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি সাহিত্য পত্রিকা 'সমকাল'-এর প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৫ আগস্ট সিকান্দার আবু জাফর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।

তসলিমার রেসিডেন্ট পারমিট বাতিল করল ভারত
বাংলাদেশের আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের রেসিডেন্ট পারমিট বাতিল করেছে ভারত সরকার। গত বৃহস্পতিবার এক টুইটার বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন লেখিকা নিজেই। তিনি লিখেছেন, ভারত সরকার আমার রেসিডেন্ট পারমিট বাতিল করেছে। ২০০৪ সাল থেকে এই সুবিধা আমি পেয়ে আসছি। এর পরিবর্তে আমাকে দুই মাসের মাল্টিপল এন্ট্রি টুরিস্ট ভিসা দেয়া হয়েছে। এদিকে ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রেসিডেন্ট পারমিট নবায়নের জন্য গত ২৬ জুন আবেদন করেছিলেন তসলিমা নাসরিন। এ আবেদন নাকচ হওয়ার পর তাকে দুই মাসের ভিসা দেয়া হয়েছে, যার মেয়াদ আজ ১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে।
২০০৪ সালের আগ পর্যন্ত তসলিমা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে থাকতেন। পরে তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়া হয়। প্রথমে ছয় মাসের এবং পরবর্তী সময় এক বছর করে এ পারমিট দেয়া হতো। তসলিমা নাসরিনকে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল ১৯৯৪ সালের মাঝামাঝি। তারপর নানা দেশ, নানা শহর ঘুরে প্রায় বছর-তিনেক হলো দিল্লিই তার ঠিকানা।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তসলিমা নাসরিন বলেন, দেশে ফেরার অধিকার অর্জনের জন্য তার লড়াই থামবে না এবং বার বার প্রত্যাখ্যাত হলেও বাংলাদেশি পাসপোর্ট নবায়নের জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়েই যাবেন। আর দিন কয়েকের মধ্যেই দেশ থেকে তার নির্বাসনের ২০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে।
*দৈনিক ইত্তেফাকের সৌজন্যে

===================



গাজায় যুদ্ধাপরাধঃ প্রতিবাদে অযান্ত্রিকও পিছিয়ে নেই

প্যালেস্টাইন পুড়ছে সেই সাথে পুড়ছে বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষের বিবেক গাজায় মৃতের সংখ্যা এখন ১৪০০ ছুই ছুই বিশ্বের মানবতার ধ্বজাধারী দেশগুলো এই দৃশ্য তুলতুলে বিছানায় শুয়ে শুয়ে দেখছেঅপরদিকে গোটা বিশ্বে মানবতাবাদী মানুষেরা এর প্রতিবাদ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে শিল্প-সাহিত্যের পত্রিকা অযান্ত্রিকও পিছিয়ে নেই পত্রিকাটি প্যালস্টাইন এর উপর বিশেষ একটি সংখ্যার আয়োজন করেছে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের লেখকদের আয়োজনে তাদের  এই প্রয়াস উল্লেখ্য যেপ্যালেস্টাইন সংখ্যাটিমূদ্রণ আকাড়েও প্রকাশিত হতে যাচ্ছে এটি পাওয়া যাবে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেট, নিউইয়র্ক মুক্তধারা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এই সংখ্যার লেখকরা হলেন:
০১-গল্প: ONE DAY IN A VERY MORNING- Tasnimul Alam Khan Samin
০২- প্রবন্ধ - ) জেরূসলম- সৈয়দ মুজতবা আলী; ) গাজায় মানবতাবাদের হত্যাযজ্ঞ- .মাহবুব হাসান; ) Saga Of Palestine- মো: তৌহিদুল আলম খান; ) গাজার উৎপীড়ন, ইসরাইলের দুষ্কার্য, আমাদের দায়িত্ব- নোয়াম চোমস্কি- অনুবাদঃ মীর রিফাত-উস-সালেহীন
০৩- কবিতা- ) অল কান্ট্রিস অফ - সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল; ) কার যেন অট্টহাসি তবু শোনা যায়- তমিজ উদদীন লোদী; ) সময় ঘুমিয়ে থাকে- শামস আল মমীন; ) রক্তসন্ধ্যা শেষে - ফকির ইলিয়াস; ) এই কবিতাটি- মহীবুল আজিজ; ) সূর্যের পোশাক - রইস মনরম; ) প্যারালাল জ্যোৎস্নাঝড়ে - সুমিন শাওন; ) বিবেক- দর্পণ কবীর; ) আবারো সে ভূমিষ্ঠ হবে - শরিফুল ইসলাম খান; ) দাবি- সিজন নাহিয়ান; ) LIVING ALONE- নাফিসা আলম তরী
০৪- অনুবাদ কবিতা- ) আমরা ভাল আছি, তোমরা? - খালেদ এল-হিবর- হাসান ফিরদৌস; ) একটি ভূখণ্ডের দিকে যাচ্ছি - মাহমুদ দারবিশ- ওবায়েদ আকাশ
০৫- ছড়া- ) শৈল্পিক সংস্কার - মামুন জামিল
০৬- আমার কথা- ) ভেড়াকে দিয়ে হাল চাষ হয় না - মাজহারুল ইসলাম
অযান্ত্রিকের লিংক: www.ajantrik.com

====================
সেরা বাঙালি সাহিত্যিক হলেন কথাশিল্পী শাহীন আখতার

কথাশিল্পী শাহীন আখতার ভারতের এবিপি-আনন্দের সেরা বাঙালি সাহিত্যিকের সম্মান পেয়েছেন গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কলকাতার প্রখ্যাত সাহিত্যিক বাণী বসু এবং অভিনেতা জিৎ
এবিপি-আনন্দ ২০০৫ সাল থেকে সাহিত্য, সংগীত, অভিনয়, চলচ্চিত্র পরিচালনা, জনসেবা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, আবিষ্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা বাঙালিদের এই সম্মান দিয়ে আসছে ২০১৪ সালে সাহিত্যে সেরা বাঙালির সম্মান পেলেন বাংলাদেশের এই লেখিকা।

----------
ইউপিএল’র মহিউদ্দিন আহমেদকে ইমেরিটাস প্রকাশকসম্মাননা
আপনারা বই লিখেছেন বলেই প্রকাশক হতে পেরেছি 

বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে আনন্দঘন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সৃজনশীল প্রকাশনার অন্যতম পথিকৃৎ মহিউদ্দিন আহমেদকে ইমেরিটাস প্রকাশকসম্মাননা প্রদান করা হলো গত ২৩ জুলাই। দেশের প্রকাশনাশিল্পে অনন্য ভূমিকা রাখায় জন্য এই সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আর বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলামের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি। মহিউদ্দিন আহমেদ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি প্রকাশক হতে পেরেছি আপনারা বই লিখেছেন বলেই। বইটি হয়তো ভালোভাবে প্রকাশ করেছি এটুকুই আমার কাজ।

=========
একজন প্রাক্তন প্রকাশক ও লেখকের প্রস্থান
কাজী ফারুক। এ প্রজন্মের লেখক কিংবা পাঠকেরা তাঁকে চিনবেন না। কেউ কেউ চিনবেন অন্য পরিচয়ে। ক্যাব সভাপতি কাজী  ফারুক হিসেবে। কারণ, তিনি দীর্ঘদিন দেশে ভোক্তা আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তি হিসেবে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। সেই কর্মের আড়ালে হারিয়ে গেছে তাঁর লেখক ও সাংবাদিক স্বত্তা। সেই সাবেক সাংবাদিক, কথাশিল্পী ও বাংলাদেশ বেতারের দর্পণ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক কাজী ফারুক ৬৬ বছর বয়সে গত ১৬ জুলাই চলে গেলেন চিরদিনের জন্য।

তিনি একজন প্রকাশকও ছিলেন। তাঁর প্রকাশনীর নাম ছিলো- ‘বর্ণবিথি’। যেখান থেকে বের হয়েছে- রাহাত খানের আলোচিত উপন্যাস- ভালমন্দের টাকা, মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রথম কাব্যগ্রন্থ- শোনিতে সমুদ্রপাতর প্রভৃতি।

কাজী ফারুক গল্প লিখতেন। তাঁর ২টি বই বেরিয়েছে। পরে তিনি লেখালেখি, প্রকাশনা, সাংবাদিকতা ছেড়ে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষনে নিবেদিত হন। বাংলাদেশ কনজুমার্স এসোসিয়েশন (ক্যাব) এর সভাপতি কাজী ফারুক ইন্তেকাল করেন। দেশে প্রায় সকল রকমের খাদ্যে রাসায়নিক তথা ফরমালিন মিশ্রিতকরণ, অতি মুনাফায়ের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতারণামূলক কাজ যা মানুষের জীবনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে এদের কাছে মানুষের জীবনের চাইতে অসৎ, প্রতারণা পূর্বক অর্থ সঞ্চয় করাই কৃতিত্বের কাজ বলেই তারা মনে করেন এদের বিরুদ্ধে কাজী ফারুকের ভূমিকা ছিলো একটি প্রচন্ড চপোটাঘাত

----------
চলে গেলেন ‘হোয়াট ইজ রিলিজিয়ন’

চির দিনের জন্য চলে গেলেন ‘হোয়াট ইজ রিলিজিয়ন’এর ব্রাজিলিয়ান লেখক রুবেম আলভেস। তিনি শুধু লেখকই নন, দার্শনিক এবং তাত্ত্বিক ছিলেন তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর আলভেসকে ক্যাম্পিনাসের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তার একাধিক অঙ্গও অকেজো হয়ে পড়ে

আলভেসের উল্লেখযোগ্য লেখার মধ্যে রয়েছেহোয়াট ইজ রিলিজিয়ন?’ এবং থিউলজি অব হোপইত্যাদি যা ইংরেজী ভাষায় অনুদিত হয় শিক্ষা মনস্তত্বের ওপর রয়েছে তার বেশকিছু তাত্ত্বিক রচনা এছাড়া শিশুদের জন্যে রচিত তার বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রয়েছে যা সর্ব মহলেই প্রশংসিত।




---------------------------

টরন্টোতে ফিরলেন সৈয়দ ইকবাল

চিত্রশিল্পী ও কথাশিল্পী  সৈয়দ ইকবাল দীর্ঘ এক বছর পর গত সপ্তাহে দেশ থেকে আবার ফিরলেন টরন্টোতে। তিনি তাঁর আঁকাআঁকি আর লেখালেখি নিয়ে ভীষর ব্যাস্ত ছিলেন। ইতোমধ্যে তাঁর ৬/৭টি বই বেরিয়েছে। সেই সাথে প্রদর্শিত হয়েছে প্রদর্শনী।

তিনি তাঁর ফেইসবুকে লিখেছেঃ Goodbye Dhaka বন্ধুগণ যাই। ঢাকা ছেড়ে আবার উড়াল,টরন্টো। অনেক আগে একটা উপন্যাস লিখে ছিলম 'পক্ষিজীবন'। আসলে মানুষের জীবন পাখীর মতই। ঢাকার দিন গুলো এবার কস্টের হলেও মজার ছিলোঅনেক প্রাপ্তীর ছিলো। 
১৫তম একক প্রদর্শনী সুবীরদার করলেন। রয়েল পাবলিশার্সে প্রিয় জামাল কি চমৎকার ৬ টি বই প্রকাশ করে দিলো। আমার মত নগণ্য লেখকের মোট ২৭টি বই ভালেই গা শিউরে ওঠে।


=====================

 আজ মিল্টন হাসনাতের জন্মদিন

ডাক্তার এবং ডক্টর মিল্টন হাসনাত  কবি, সাহিত্যিক, সংগঠক, শিক্ষক, গবেষক, একজন বিজ্ঞানীও বটে। সব্যসাচী হাসনাত থাকেন অষ্টেলিয়ায় থাকেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। পড়ান। বক্তব্য দেন। এ পর্যন্ত তিনি ১২টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তম্মেধ্য, ‘এক জীবনের গল্প (কাব্যগ্রন্থ)’, ‘মূলতঃ পুড়ছি আমি তোমার অনলে (কাব্যগ্রন্থ)’ ‘মানুষ মূলতঃ একা (উপন্যাস)’ ‘কাছে নেই দূরে তো আছি (উপন্যাস)’,‘সবুজ পাসপোর্ট (ভ্রমন কাহিনী)’, লিরিকধর্মী কাব্যগ্রন্থ ‘এসএমএস ভালোবাসা’ এবং ‘তরুনী’ উল্লেখযোগ্য। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ভ্রমণ কাহিনী 'সাপপোর্ট' একটি অসাধারণ বই। এতো বড় মাপের রঙিন মানুষটি বাস্তবে খুবই সাধারণ, শাদামাটা!

আজ তার জন্মদিন। মিলটনকে- Happy Birth Day!


====================
শুভ জন্মদিনঃ তুষার আবদুল্লাহ

কবি, গল্পকার, সাংবাদিক...সব্যসাচী তুষার আবদুল্লাহ। মাটি আর মানুষের স্বপ্ন নির্মাণ আর স্বপ্ন ভঙ্গের মাঝে নিরন্তর সামনের দিকে এগুচ্ছেন তিনি। আর তাঁর সেই পথ হচ্ছে গণ মাধ্যম। প্রিন্ট মিডিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। মূলত গণ মাধ্যমকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও শিল্প-সাহিত্যের প্রতি তাঁর টান সন্তানের ভালোবাসার মতো।

ভোরের কাগজে একবার তুষার আবদুল্লাহর দীর্ঘ একটি কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তারপর কবিতা থেকে নিজেকে একটু সরিয়ে নিয়েছিলেন। এখন আবার ফিরে এসে- ছোট-ছোট লিরিক, মজার-মজার পঙক্তি নিয়ে। যার ভাষা আর ব্যঞ্জনা ভিন্ন। যেমন- কালো টাকা, সাদা টাকা। এভাবে কালো মেঘ, সাদা মেঘকে দেখোনাঅথবা- বসন্ত আর জল বসন্তের বৈপরিত্যের চমক সৃষ্টি করে। সেই সাথে লিখছেন গল্প!

আজ তার জন্মদিন। তাঁকে- Hapyy Birth Day!

===========
নোবেল বিজয়ী নাদিন গর্ডিমার আর নেই

নোবেল বিজয়ী জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক নাদিন গর্ডিমার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। প্রথিতযশা এই লেখিকার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ৩০টি বইয়ের রচয়িতা নাদিন গর্ডিমার তাঁর লেখনিতে বর্ণবাদের বিরোধিতা স্থান পেয়েছে।
গত সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে 'মাই সনস স্টোরি, বারগারস্ ডটার এবং জুলিস পিপল'। তিনি ১৯৯১ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৭৪ সালে যৌথভাবে বুকার সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

=======
......তবুও তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

বড় কবি বা লেখকের চেয়ে, ভালো মানুষকে আমি গুরুত্ব দেই। কবি আল মাহমুদ প্রথম পর্বের মানুষ! তাঁর সাথে প্রথম দেখা হয়- ১৯৭৭/৭৮ সালে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে। তিনি তখন সহকারী পরিচালক। বঙ্গবন্ধু তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে শিল্পকলায় চাকরি দিয়েছেন। তারপরও বঙ্গবন্ধুর বাজে সমালোচনা করলেন!
আমি মফস্বল থেকে ‘কবি’ হবার জন্য ঢাকায় এসে তাঁর সাথে দেখা করতে যাই। সাপ্তাহিক বিচিত্রা ঈদ সংখ্যা নিয়ে। তিনি ঈদ সংখ্যাটা নিয়ে বললেন, ‘মিঞা, কবির সাথে দেখা করতে এসেছো। খালি হাতে। যাও, এক প্যাকেট বেনসন নিয়ে আসো।' আমি তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়! বেকার জীবন। পকেটে খুব একটা পয়সা নেই। তবু শিল্পকলা একাডেমীর গেটের পাশে টিনের ছাপড়ার চায়ের দোকান থেকে ৫টা বেনসন নিয়ে গেলাম। পরিচয় পর্বের পর খালি হাতে ফিরে এলাম। কারণ, আসার সময় তিনি বিচিত্রা ঈদ সংখ্যাটাও রেখে দিলেন। যাঁর সোনালী কাবিন, কালের কলস পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম, প্রথম দেখাতেই সেই মুগ্ধতা ম্লান হয়ে গেলো!
আর তাঁর সাথে শেষ দেখাটাও প্রায় একই রকমের। শাহবাগের আজিজ মার্কাটে আমার অফিসে এলেন। রোজার সময়। ইফতারি করবেন। এসেই বললেন, নিচে ‘জিলাপি জিলাপি’ বলে চিৎকার শোনলাম আর হালিমের সুঘ্রাণ পেলাম। এগুলো আনো। এই ফাঁকে যথারীতি শামসুর রাহমানের নেতিবাচিক সমালোচনা করলেন! 
ইফতারির প্রথম পর্ব শেষ করে মাগরেব পড়লেন। নামাজ শেষ করেই ইফতারির দ্বিতীয় পর্বে হালিমের জন্য আবারো তাড়া দিলেন। পরে তিনি আমাকে একটা ছড়ার পান্ডুলিপি দিবেন, বললেন। সেই সময় পাঠশালা থেকে চার কালারে শামসুর রাহমানের চমৎকার ছড়ার বই ‘চাঁদ জেগেছে নদীর বুকে’ বের হয়েছে। বইটির প্রডাকশন দেখে রাজি হলেন। বললেন- ‘তাহলে এডভান্স দেও’। দিলাম এক হাজার টাকা। নতুন নোট। নোটের গন্ধ নিলেন তারপর গুনলেন। সেখান থেকে একটা কড়কড়ে নোট বের করে বললেন, হালিমটা খুব টেষ্টি। তোমার ভাবী-বাচ্চাদের জন্য নিয়ে যাই। আমি বলল্লাম, টাকা লাগবে না। আমিই ব্যবস্থা করছি। 
-তাহলে তাড়াতাড়ি আনাও। তারাবি পড়তে হবে!
আমার অফিসের পিয়ন দ্বীন মুহাম্মদকে দিয়ে দুই হাড়ি হালিম এনে দিলাম। মহা খুশিতে তিনি চলে গেলেন। তাঁর সাথে ছিলেন, জামাতি এক তরুণ কবি।
তারপর আর আল মাহমুদকে পাইনা। পান্ডুলিপি দেন না! অনেক তাগিদ দেয়ার পর ৮টি ছড়া দিলেন। বাকী আরো ৮টি পরে দিবেন। দেন দেন করে আর দিচ্ছেন না। একদিন হঠাৎ তাঁর ফোন- ‘দুলাল, তোমাকে যে ছড়াগুলো দিয়েছিলাম। তুমি সেগুলো দাও। ঐতিহ্য থেকে আমার একটা বই বের হচ্ছে। নাঈম আরো ক’টা ছড়া চেয়েছে। তোমাকে একটা দারুণ উপন্যাস দেবো’।
তারপর আজ অব্দি তাঁর ছড়ার পান্ডুলিপি পাইনি। উপন্যাসও না। আর সন্মানির সেই এডভান্সটাও ফেরত দেন নি!
...তবুও তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
-সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল

হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার বিচার হচ্ছে না!
=========================জাহাঙ্গীর আলম

সাক্ষী না আসায় ঝুলে রয়েছে কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম। সাক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ। টানা দুটি নির্ধারিত তারিখে একজন সাক্ষীকেও আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। এ মামলায় ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এবিএম বসিরউদ্দিন মিঞা দ্য রিপোর্টকে বলেন, অনেক পুরাতন মামলা তাই সাক্ষীদের খুঁজে পাচ্ছি না। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, মামলার নথিপত্রে সাক্ষীদের যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সে ঠিকানায় তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মামলাটি খুব দ্রুত শেষ করে দেব।
ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু দ্য রিপোর্টকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই সাক্ষীদের আদালতে এনে সাক্ষ্য নিয়ে খুব দ্রুত মামলাটি শেষ করা উচিত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফারুক আহম্মদ বলেন, অনেক পুরাতন মামলা তাই সাক্ষীদের খুঁজে পাচ্ছে না রাষ্ট্রপক্ষ। তবে রাষ্ট্রপক্ষের উচিত সাক্ষীদের খুঁজে বের করে সাক্ষ্য নিয়ে মামলার কার্যক্রম শেষ করা। এ মামলাটি বর্তমানে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভূইয়ার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ওই হামলার পর তিনি ২২ দিন সিএমএইচ-এ ও ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট ড. হুমায়ুন আজাদ মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর সিআইডির পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নুর মোহাম্মাদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অভিযোগ থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ পাঁচজনের নাম মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়। এ মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে পাঁচ দফায় ১২ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
চার্জশিট থেকে বাদ যাওয়া অপর চার আসামি হলেন, আবু আব্বাস ভূঁইয়া, গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা মাহমুদ, আবদুল খালেক গবা ওরফে টাইগার ও শফিক উল্লাহ সাদ। সাক্ষ্য গ্রহণের এক পর্যায়ে মামলার বাদী ও হুমায়ুন আজাদের ভাই মো. মঞ্জুর কবির ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর মামলাটির পুনঃতদন্তের আবেদন করলে ২০ অক্টোবর আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান হুমায়ুন আজাদকে হত্যার অভিযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভূইয়া বর্তমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ মামলায় জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু (পলাতক) ও সালাহউদ্দিন (পলাতক)।
* দ্য রিপোর্ট ২৪ ডটকমের সৌজন্যে

=============
হাসান মাহমুদের গান-কবিতার যুগলবন্দি 

সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন আহ্বান এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো নব্বই দশকের কবি ও কন্ঠশিল্পী হাসান মাহমুদের স্বরচিত কবিতা ও সংগীতের অনুষ্ঠান যুগলবন্দি। প্রথমে কবি তার গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত কবিতা দিয়ে শুরু করেন এই নান্দনিক অনুষ্ঠান। ১২টি কবিতা ১২ টি গান দিয়ে সাজানো ছিল এই মুগ্ধময় আয়োজনটি। নিজের লেখা গান ছাড়াও তিনি দুই বাংলার হারানো দিনের গান, লোকগীতি ও দেশের গান পরিবেশন করেন তিনি।  গত ২৭ জুন, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানী ঢাকার ৬৯/ই পান্থপথে (অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় তলা অডিটোরিয়ামে) অনুষ্ঠিত আয়োজনটি ছিল ঘরোয়া এবং বাহুল্যবর্জিত। সভাপতি, প্রধান অতিথি বিহীন কাব্যময় আয়োজনে শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানান অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট কবি, লেখক, শিল্পী ও সাংবাদিক উপস্থিত থেকে হাসানের গান-কবিতা শ্রবণ করেন।
বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পী হাসান মাহমুদ দেশ বরেণ্য সংগীত পরিচালক দেবু ভট্টাচার্য, বশির আহমেদ, লালন স¤্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীনের নিবিড় সান্নিধ্য লাভ করেন। তিনি কবিতা ও গানের জন্য দেশ-বিদেশে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ভারত, নেপাল ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন্ অঞ্চলে বহুবার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। এ যাবত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯টি। গান লিখেছেন শতাধিক। পেশাগত জীবনে সাংবাদিক হাসান মাহমুদ কাজ করেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায়। বর্তমানে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক।

---------------
না ফেরার দেশে আবুল হোসেন

প্রবীণতম কবি আবুল হোসেন ৯২ বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কবি আবুল হোসেন কাব্যচর্চ্চা করেছেন আহসান হাবীব, ফররুখ আহমদের সাথে। কলকাতায় সাহিত্যমহলে তাঁদেরকে ত্রয়ীকবিবলে আখ্যায়িত করা হতো। আবুল হোসেনের গ্রন্থসংখ্যা ২৫। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'নব বসন্ত' বের হয় ১৯৪০ সালে।
তিনি ছিলেন গত শতকের ৪০ দশকের বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কবি। স্বতন্ত্র কাব্য ভাষায় তিনি বাংলা কাব্যে তার স্থান করে নিয়েছিলেন। তাঁর জন্ম বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার আরুয়াডাঙা গ্রামে ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট। তার শৈশব কেটেছে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণ নগরে, যৌবন কলকাতায় আর পরবর্তীতে বাংলাদেশে। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও পরে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সরকারি চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ নববসন্ত প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে। অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে বিরস সংলাপ; হাওয়া, তোমার কি দুঃসাহস; দুঃস্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্নে। এ ছাড়া তার আত্মজীবনী- ‘আমার এই ছোট্ট ভুবন’। সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার, জাতীয় কবিতা পুরষ্কার, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
সাতদিন তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে।

----------------
বাংলাদেশ ঘুরে এলেন আলী রীয়াজ 

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক, বিশিষ্ট লেখক ড. আলী রীয়াজ আড়াই সপ্তাহ ছুটি কাটালেন বাংলাদেশ। ঘুরে বেড়ালেন স্বদেশের গ্রামে, গঞ্জে, শহরে। ত্রিশাল থেকে খুলনা, খুলনা থেকে চাটগাঁ।বক্তৃতা দিলেন- বাতিঘরে। আড্ডা দিলেন পুরনো বন্ধুদের সাথে। সময় কাটালেন আত্মীয়-স্বজনদের সান্নিধ্যে। এভাবেই কাটছে তাঁর স্বদেশ সফর। 

ছুটি কাটিয়ে ২৪ জুন ফিরে এসে আবারো লিখছেন- কলাম, ভয়েস অব আমেরিকায় বলছেন- ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রির সফর নিয়ে। শুরু করবেন ইউনিভার্সিটির ক্লাশ।

মাসুদ খানের একক কবিতা সন্ধ্যা
---------------------

গালুমগিরি সংঘের আয়োজনে শাহবাগের পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে হয়ে গেল কবির কবিতা পাঠ। সংগঠনটি এর আগে কবির কবিতা পাঠ’ আয়োজন করতো অস্তিত্বর ব্যানারেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বরচিত কবিতা পাঠের এই দ্বিতীয় পর্যায়ের আয়োজনে প্রথম কবি ছিলেন মাসুদ খান। তাঁর কাব্যকীর্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন কবি শোয়াইব জিবরান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরুর কথা থাকলেও অনুষ্ঠান শুরু হয় সাতটায়। প্রথমেই গালুমগিরি সংঘের প্রধান গালুম কবি শিমুল সালাহ্উদ্দিন সংগঠনের উদ্দেশ্যকর্মপরিধি এসব ব্যাখ্যা করেন।


সংগঠনটি নিয়মিত প্রতিমাসে একজন করে কবিকে নিয়ে এমন আয়োজন করতে চায় বলে জানান তিনি। সন্ধ্যা সাতটা দশে কবিতা পাঠ শুরু করেন কানাডা প্রবাসী, আশির দশকের অন্যতম কবি মাসুদ খান। তিন তাঁর পনেরোটির মতো কবিতা পাঠ করেন। শ্রোতাদের অনুরোধ আর হাততালিতে জমে উঠেছিল এই ছিমছাম অনুষ্ঠান। প্রায় আটটা পর্যন্ত কবিতা পাঠের পর তাঁর কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন কবি শোয়াইব জিবরান। তিনি মূলত কেন মাসুদ খান গুরুত্বপূর্ণকোন ভক্তিভাবের জায়গা থেকে তিনি মাসুদ খানের কবিতা পাঠ করেনবাংলা কাব্যপরম্পরায় মাসুদ খানের স্থান কোথায়মাসুদ খানের কবিতার ডিকশন এসব প্রসঙ্গে কবিতা ধরে ধরে আলোচনা করেন।
তাঁর আলোচনা পর্বের পর কবি মাসুদ খান আবার তাঁর কবিতা পাঠ করেন রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত। পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে এর পরের আয়োজনের কবি জুয়েল মাজহারতাঁর কাব্যকীর্তি নিয়ে আলোচনা করবেন হিজল জোবায়ের।

-----------
এক কবির আত্মাহুতির ঘোষণা!
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মাহুতির ঘোষণা দিয়েছেন কক্সবাজারের কবি মানিক বৈরাগী। আত্মাহুতি দিয়ে তিনি নিজের রাগ-ক্ষোভ মেটাতে চান। তিনি ১০ রমজান পর্যন্ত আলটিমেটামও দিয়েছেন। এরই মধ্যে তার চিকিৎসা না হলে শহীদ মিনারে উন্মুক্ত মঞ্চে আত্মহত্যা করে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন বলে জানান দরিয়ানগরের এই কবি।
কবি মানিক বৈরাগী গতকাল টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান, 'বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে আমার ওপর পুলিশি নির্যাতন, কারাগারে নিক্ষেপ ও জিয়া পরিষদের ক্যাডাররা আমার পরিবারের ওপর হামলা চালায়, লুটপাট ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করে। গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এ সময় আমার উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিন মাস পার হলেও আশ্বাস কার্যকর হয়নি। রোগের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দাঁড়াতে পারছি না। আমার স্ত্রীর স্কুলশিক্ষকতার বেতনে পরিবার চলে না। শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি, মৃত্যুযন্ত্রণা সহনমাত্রা অতিক্রম করেছে। এ অবস্থায় আত্মাহুতি ছাড়া অন্য পথ আমার জানা নেই।' যন্ত্রণাকাতর কবি বৈরাগী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ১০ রমজানের মধ্যে কার্যকর না হলে পরের সপ্তাহের যে কোনো মুহূর্তে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিজেকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

*বাংলাদেশ প্রতিদিনের সৌজন্যে
----------------

শিল্প-সাহিত্য কখনোই আমি-কেন্দ্রিক নয়, তুমি-কেন্দ্রিকঃ রণজিৎ

তরুণদের কাছে খুবই জন প্রিয় কবি রণজিৎ দাশ। আসামের শিলচর শহরের রণজিৎ কলকাতায় থাকলেও ঢাকায় রয়েছে তাঁর অনেক ভক্ত! পৈতৃক নিবাস ঢাকার বিক্রমপুরে। ঢাকা ছাড়ে গেলেও ঢাকা তাঁকে ছাড়েনি। বরং সারা বাংলাদেশেই ছড়িয়ে পড়ছেন রণজিৎ দাশ।

গত ২৬ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরী চাটগাঁর বাতিঘরে আয়োজিত আমার কবিতাশীর্ষক এক অনুষ্ঠানে কবিতা পড়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। এবং নিজের জীবন ও কবিতা নিয়ে পাঠকের মুখোমুখি হন।

তিনি বলেন- শিল্প কখনোই আমি-কেন্দ্রিক নয়, তুমি-কেন্দ্রিক। কবিতায় কবির নিজের দুঃখ-যন্ত্রণার যে প্রকাশ, তার মধ্যেও রয়েছে কবির তুমি কেন্দ্রিক নৈর্ব্যক্তিতার মানস। কোনো শিল্পই শিল্পের জন্য নয়, শিল্প পৃথিবীর জন্য।

কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে  রণজিৎ দাশ সম্পর্কে আলোচনা করেন কবি তুষার দাশ।


------------
এক দত্তের জন্মদিন, 
আরেক দত্তের মৃত্যু দিবস

সতেন্দ্রনাথ দত্ত। কবি ও ছড়ার রাজা। যাঁকে বলা হয় ছন্দের জাদুকর। ২৫ জুন ছিলো তাঁর জন্মদিন। আর সুধীন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা ভাষার একজন প্রধান আধুনিক কবি। বিংশ শতকের ত্রিশ দশকের যে পাঁচ জন কবি বাংলা কবিতায় রবীন্দ্র প্রভাব কাটিয়ে আধুনিকতার সূচনা ঘটান তাদের মধ্যে সুধীন্দ্রনাথ অন্যতম। তাঁকে বাংলা কবিতায় ‘ধ্রুপদী রীতির প্রবর্তক’ বলা হয়। এই দিনে তাঁর মৃত্যু দিবস। সাতদিন দু’জনকে স্মরণ করছে।

--------
অসুস্থ বেলাল চৌধুরী, 
পুরষ্কৃত হাসান আজিজুল হক 

কবি বেলাল চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছন প্রধান মন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান মন্ত্রীর অফিসের মহা পরিচালক কবির বিন আনোয়ার প্রধান মন্ত্রর পক্ষ থেকে একটি চেক হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, ক’দিন আগে তাঁর ছোট ভাই গিয়াস কামাল চৌধুরী চির বিদায় নিলেন।
------

বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীল লেখকদের সম্মানিত করার লক্ষ্যে এবারও দুজন সাহিত্যিককে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪প্রদান করা হয়েছে। গত ২১ জুন শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলের বলরুমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জেমকন গ্রুপ।
সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মিলন মেলায় এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪এবং কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগমকে জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কারপ্রদান করা হয়
পুরস্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ হাসান আজিজুল হককে তাঁর সাবিত্রী উপাখ্যানগ্রন্থের জন্য নগদ তিন লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।


অপরদিকে আফসানা বেগমকে তাঁর দশটি প্রতিবিম্বের পাশেনামক গল্পের পাণ্ডুলিপির জন্য নগদ ৭৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়। জেমকন গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী শাহেদ আহমেদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে এ অর্থমূল্য তুলে দেন।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে কাগজ সাহিত্য পুরস্কারএবং ২০০৭ সাল থেকে তা জেমকন সাহিত্য পুরস্কারপ্রবর্তণ করা হয়।
-------------
অরুণাভ সরকার এবং তিতাশ চৌধুরী
গুরুতর অসুস্থ

ষাট দশকের কবি, বিশিষ্ট সাংবাদিক অরুণাভ সরকার গুরুতর অসুস্থ প্রথমে তাকে ঢাকায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে ভর্তি করা হয় পরে গত ১৯ জুন অধ্যাপক ডা. বরেন চক্রবর্তী তাকে স্কয়ার হাসপাতালের ডা. শর্মার মতামত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন
এই কবির ‘নারীরা ফেরে না’; তবে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এটা সাতদিনের কাম্য।
অপর দিকে বিশিষ্ট লেখক অধ্যক্ষ তিতাশ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ভীষণ অসুস্থ। তিনি বর্তমানে তাঁর ক্যান্টনমেন্ট বাস ভবনে চিকিসাধীন অবস্থায় বিশ্রামে আছেন।


--------------
সাহিত্য পুরষ্কার, কবিতা সন্ধ্যা এবং রণজিৎ বিশ্বাস

ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার-২০১৩ পেলেন মাসরুর আরেফিনমঈনুল আহসান সাবের ও বদরুন নাহার। 

২১ জুন রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীরা পান এক লাখ টাকাক্রেস্ট ও সম্মাননা পত্র। প্রবন্ধআত্মজীবনীভ্রমণ ও অনুবাদকবিতা ও কথাসাহিত্য ও তরুণ সাহিত্য এই তিন শ্রেণীতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মাসরুর আরেফিন 'ফ্রানত্সা কাফকা গল্পসমগ্রঅনুবাদ, মঈনুল আহসান সাবের ‘এখন পরিমলউপন্যাস আর বদরুন নাহার ‘বৃহস্পতিবার’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার পান।

 ২০১৩ সালে প্রকাশিত বই থেকে সেরা তিনটি বই নির্বাচন করা হয়েছে। তিন শ্রেণীতে ৬শ বই জমা পড়ে। জুরি বোর্ড সেরা তিনটি বই নির্বাচন করে। উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে এ পুরস্কার প্রবর্তন করে ব্র্যাক ব্যাংক ও দৈনিক সমকাল।


=================

দর্শনীর বিনিময়ে কবিতা সন্ধ্যা


দর্শনীর বিনিময়ে বৃষ্টি ও বিরহের কবিতা সন্ধ্যা আয়োজন করছে ছোটকাগজ লোক। আগামী ২২ জুন রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হবে।


অনুষ্ঠানে ষাটের দশক থেকে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ১৭ জন কবি বৃষ্টি ও বিরহের কবিতা পড়বেন। এরা হলেনআসাদ চৌধুরী, রফিক আজাদ, রণজিৎ দাশ, কামাল চৌধুরী, মোহাম্মদ সাদিক, পৌলোমী সেনগুপ্ত, তারিক সুজাত, শামীমুল হক শামীম, টোকন ঠাকুর, মুজিব মেহদী, মাহবুব কবির, শামীম রেজা, কবির হুমায়ুন, জাহানারা পারভীন, জুয়েল মোস্তাফিজ, তিথি আফরোজ ও রহিমা আফরোজ মুন্নী।


রণজিৎ বিশ্বাস সড়ক দুর্ঘটনায় আহত

নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশিষ্ট লেখক এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লাগার পাশাপাশি কোমরের একটি হাড় সরে গেছে। তবে সে এখন আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। গত শুক্রবার দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাকার মোড়ে বনপাড়া-হাটিকুমরুল-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানানবেলা দেড়টার দিকে রাজাকার মোড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ঢাকাগামী সচিবের পাজেরো জিপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে জিপের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। গাড়িতে থাকা রণজিৎ গুরুতর আহত হয়। স্হানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বনপাড়ার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা রণজিৎকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। রাজশাহী মেডিকেলে অস্ত্রোপচারের পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রণজিৎকে ঢাকায় আনা হয়েছে।


-----------------

কবি সির্দ্ধাথ হক, আবু করিম এবং মাসুদ খান


কবি সির্দ্ধাথ হক আর আবু করিম ঘুরে গেলেন টরন্টো। আর ঢাকায় বেড়াতে গেলেন কবি মাসুদ খান। সির্দ্ধাথ হকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ এক অপার সম্ভানার দেশ। সব দিক দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার তিনি বাংলা কবিতার চেয়ে বাংলাদেশের কথাই বেশি বললেন। কি ভাবে বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠছে আরেকটি বাংলাদেশ। কি ভাবে পোষাক শিল্পে আবারো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। সাফল্যের সাথে প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের তরুণেরা। মিডিয়া কি ভাবে মানুষকে জাগিয়ে তুলছে। কি অপূর্ব আমাদের কক্সবাজার। বাংলাদেশকে এভাবেই দেখছেন তিনি।

আর আবু করিম বললেন, টরন্টো এতো চমৎকার শহর! তবু আমাকে টানছে ঢাকা। ঢাকার জন্য মন্টা খুব অস্থির। তাই ফিরে যাচ্ছি। সেই একই টানে আবারো স্বদেশে ছুটে গেলেন কবি মাসুদ।
=========================================

কবিতা মুখস্ত করলে রেল ভাড়া ফ্রি!

=========================



প্রায় প্রতিটি দেশই তার জাতীয় কবি বা তার ভাষার বড় কবি সাহিত্যিকদের বিশেষ সম্মান দিয়ে থাকে। এমনকি এসব কবি কিংবা সাহিত্যিকের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বড় ধরনের আয়োজন করার দৃষ্টান্তও বিরল নয়। তবে সম্প্রতি রাশিয়ার সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক শহর কর্তৃপক্ষ যে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তার তুলনা দ্বিতীয়টি নেই। রাশিয়ার জাতীয় কবি হিসেবে বিবেচিত পুশকিনের ২১৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে এই শহরটি পাতালরেলের যাত্রীদের জন্য অভিনব এক অফার দিয়েছে। আগামী ক'দিন যেসব যাত্রী স্টেশনে ঢোকার আগে পুশকিনের কমপক্ষে দু'টি কবিতা মুখস্ত আবৃত্তি করতে পারবেন তাদেরকেই দেওয়া হবে বিনামূল্যে পাতাল রেল ভ্রমণের সুযোগ। আর যাত্রীরা ঠিকঠাকমতো কবিতা বলতে পারছেন কি না তা যাচাই করার জন্য ইতোমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্টেশনগুলোর প্রবেশপথে দায়িত্ব পালনের ভার অর্পণ করা হয়েছে একাধিক শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, ছাত্রছাত্রৗ এবং পুশকিনের কবিতা জানে এমন শিশুদেরও। উল্লেখ্য, রাশিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত পুশকিনের ২১৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৬ জুন নোভোসিবিরিস্কে বড় একটি উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে তার নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কও রয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার আধুনিক সাহিত্যের পথিকৃত্ হিসেবে স্বীকৃত এই সাহিত্যিকের নামের রাশিয়ার বহু শহরেই সড়ক বা স্থাপনার নাম রয়েছে এবং তার একাধিক সাহিত্যকর্ম স্কুলের পাঠ্যসূচীতেও অন্তর্ভূক্ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন