গ্রন্থ কথা

আন্তর্জাতিক ফ্রাঙ্কফুটে বইমেলায় ওসমান গনি ও কামরুল
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলা জার্মানির আন্তর্জাতিক ফ্রাঙ্কফুটে বইমেলায় অংশ নেন বাংলাদেশের দুই প্রকাশক। তারা হলেন- বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক যাথাক্রমে ওসমান গনি ও কামরুল হাসান শায়ক।

গত ৮ অক্টোবর এই মেলা শুরু হইয়। পাঁচ দিনের এ বইমেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৭০টির বেশি সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এর আগে এই মেলায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন অন্যপ্রকাশের মাজহারুল ইসলাম, স্বরব্যঞ্জনের সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, অংকুরের মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, শ্রাবণের রবীন আহসান।


===============

৫০% এ শামসুর রাহমান


শামসুর রাহমান কবি। আমি তাঁকে অবিষ্কার করি গল্পকার হিসেবে। তিনি তাঁর লেখক জীবনের গোড়ার দিকে ভৈরবের পুল নিয়ে একটি গল্প লিখেছিলেন। তা নলিনী কিশোর গুহ সম্পাদিত ‘সোনার বাংলা’। সেই গল্পটি কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে। বহু বছর পর ১৯৮৬ সালে ঈদ সংখ্যায় আরো একটি গল্প লিখেন- ‘সে, একটি ব্লেড এবং সুরভি’। পরে ভোরের কাগজের সাহিত্য সম্পাদক আর আমার অনুরোধে আরো ক’টি গল্প লিখেন। আমি তাঁর ছ’টি গল্প (সে, একটি ব্লেড এবং সুরভি, সাযযাদ আমিনের কথা, গাংচিল, প্রোজেরা, বর্ষা রাতে নূপুরের ধ্বনি, না রোদ না জোছনা) নিয়ে আমার স্বরব্যঞ্জন থেকে ‘শামসুর রাহমানের গল্প’ নামে গ্রন্থ প্রকাশ করি, ২০০২ সালে। প্রচ্ছদ করেছিলেন ধ্রুব এষ। তারও আগে- ‘সাযযাদ আমিনের কথা’ নাট্যরূপ দেই- ১৯৯৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি।
সেই শামসুর রাহমানের গল্প বইটি এখনো হাজার কপি আছে। যার মূল্য ছিলো ৬০টাকা! এখন তা (পাঠশালা, ২২ আজিজ মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা। ফোনঃ ৯৬৬২৬০১) মাত্র ৩০ টাকায় অর্থাৎ ৫০% হ্রাসে বিক্রি হচ্ছে।


============

'আমাদের পাঠাগার' এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় 'আমাদের পাঠাগার', সিকিরচর প্রাঙ্গনে 'আমাদের পাঠাগার' এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে করণীয় বিষয় নিয়ে কার্যকরী পরিষদের এক সভা, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিন্ধান্ত হয়, আগামী ২৪ অক্টোবর ২০১৪ শুক্রবার 'আমাদের পাঠাগার' এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে। জাতীয় পর্যায়ের লেখক-সাহিত্যিকদের উপস্থিতির মাধ্যমে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে 'আমাদের পাঠাগার' এ বিভিন্ন সময়ে এসেছেন, কবি নির্মলেন্দু গুণ, ডক্তর সফিউদ্দিন আহমেদ, বিপ্রদাস বড়ুয়া, আলম তালুকদার, খায়রুল আসম সবুজ, ফারুক নওয়াজ, আশরাফুল আলম পিনটু, ধ্রুব এষ প্রমূখ।


অনুষ্ঠানে বইপাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান, সাঁতার প্রতিযোগীতা এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। এছাড়া বরাবরের মতো এবারও বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আমাদের পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ূন কবীর ঢালী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান মিঝি, বদিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, রিপন ঢালী, লিটন ঢালী, কাউসার ফকির, মামুন মিয়া, জুনায়েদ সরকার, জাহিদ হাসান অপু, রাসেল, সোহেল রানা ও মোফাজ্জল হোসেন। 
এব্যাপারে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।

=============
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও চিড়া কুটে

বিদ্যাপ্রকাশের কর্ণধার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান খোকা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রবাদে বলে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও চিড়া কুটে। খোকা তাইই করছেন। আগামী নভেম্বর ২০১৪'র প্রথম সপ্তাহে লস এঞ্জেলেসের শ্যাটো রিক্রিয়েশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো গ্রন্থ উৎসবআয়োজন করতে যাচ্ছেন।
গ্রন্থ উৎসবর মূল উদ্দেশ্য অভিবাসী বাংলাদেশী লেখকদের সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ প্রদান করা এবং আরো অধিক বইমনষ্ক পাঠক গড়ে তোলা। গ্রন্থ উৎসব’-এ সাহিত্য-বিষয়ক ৩টি সেমিনার, পাঠক অভিব্যক্তি-বিষয়ক ১টি সেমিনার, শিশুদের বইপড়া'র প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।
জানা গেছে, 'বিদ্যাপ্রকাশ' এবং 'স্থানীয় লেখক-প্রকাশকদের বই প্রদর্শন ও বিক্রয়ের জন্য দুটি স্টল রাখা হবে এই উৎসবে।

------
বিশ্বের সেরা ভাষণে
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রামএবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম

১৯৭১ সালের সাতই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামবলার মধ্য দিয়েই কার্যত স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রেরণাদায়ী ওই ভাষণ এখনো আলোচিত, এনিয়ে লেখা হয়েছে কবিতাও। বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণকে বিশ্বসেরা অন্যতম ভাষণ বলে অনেকে মনে করেন। এবার বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে যুক্তরাজ্যের একটি প্রকাশনায় তা স্থান পেয়েছে। ইংরেজিতে অনুদিত ভাষণের বইটির নাম- We Shall Fight On The Beaches: The Speeches That Inspired History, উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেসদ্য স্পিচেস দ্যাট ইন্সপায়ার্ড হিস্টরি
বইটির সঙ্কলক হচ্ছেন জ্যাকব এফ ফিল্ড। খৃস্টপূর্ব ৪৩১ সাল থেকে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিশ্বের সেরা ভাষণ নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিলের ভাষণ থেকে নেয়া শিরোনামের এই সঙ্কলন গ্রন্থের শেষ ভাষণটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের টিয়ারস ডাউন ওয়াল
বইটির ২০১ পৃষ্ঠায় দ্য স্ট্রাগল দিস টাইম ইজ ট্য স্ট্রাগল ফর ইন্ডিপেন্ডেন্সশিরোনামে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ।

==============
চাইনিজ ভাষায় অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং ই-বই নন্দিত নরকে

আমার অন্যতম প্রিয় অনলাইন পত্রিকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম খুলেই দু’টি বইয়ের খবর পেলাম। একটি হলো- ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী চাইনিজ ভাষায় প্রকাশ করবে চীন সরকার’; তা জানিয়েছেন চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জুন। গত সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৪ সকালে প্রধানমন্ত্রির কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে লি জুন এ কথা বলেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু দুবার চীন সফর করেছেন। একবার ১৯৫২ সালেআরেকবার ১৯৫৭ সালে। তখন বঙ্গবন্ধু সেখানে যা যা করেছিলেন তার ‍ডায়েরি চীন সরকার চাইনিজ ভাষায় অনুবাদ করেছে। শিগগিরই তা সেখানে (চীনে) প্রকাশিত হবে বলেও লি জুন প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

বই নিয়ে অপর খবরটি হলো- হুমায়ুন আহমদের প্রথম বই নন্দিত নরকে 

ই-বুক হিসেবে - প্রকাশ পেয়েছে। আর এই প্রশংসিত কাজের দাবিদার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। পত্রিকাটি জানিয়েছে, তাদের ই-বুক এর এই যাত্রা নন্দিত নরকে দিয়ে শুরু হলো। এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
http://www.banglanews24.com/new/upload/Nandito%20Noroke%20by%20Humayun%20Ahmed.pdf


----------------
কানাডায় আজ ৮মবাংলা বইমেলা

আজ ৩০ আগষ্ঠ কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অষ্টম বাংলা বইমেলা। টরন্টোস্থ ৯ ডোজ রোডের মিলনায়তনে। এতে অংশ নিচ্ছেন- কবি ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শামীম রেজা এবং লিটিল ম্যাগ লোকের সম্পাদক শামীমুল হক শামীম। এছাড়াও আরো যারা যোগ দিচ্ছেন, তারা হচ্ছেন- দুই নাট্যকার অরুণ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী চয়নিকা চৌধুরী।


=======
সব ই-বইয়ের দাম ৯.৯৯ ডলার! 

চলন্ত ট্রেনে কিন্ডে​লে ইবই পড়ছেন একজন পাঠকযুক্তরাষ্ট্রের বিক্রি হওয়া প্রতি পাঁচটি বইয়ের দুটি বিক্রি করে অনলাইনভিত্তিক বিক্রেতাপ্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পাশাপাশি অনলাইনে বই বেচাকেনায় অ্যামাজন বিরাট বাজার তৈরি করেছে।

এই প্রতিষ্ঠান এখন চাইছে ই-বইয়ের মূল্য ৯ দশমিক ৯৯ ডলারের মধ্যে রাখতে। অর্থাৎ ইলেকট্রনিকভাবে রূপান্তরিত যেকোনো বই পাঠক পাবে ১০ ডলারের নিচে (৮০০ টাকার কম)।
তবে তাদের এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নন বিশ্বের নামকরা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও লেখকেরা।
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় মুদ্রিত বই বিক্রেতাপ্রতিষ্ঠান ওয়াটারস্টোনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেমস ডন্ট বলেন, এই উদ্যোগ বইয়ের বেচা-কেনায় অ্যামাজনের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে তাঁদের লাভের পরিমাণ বাড়াবে।
বিরোধের সূত্রপাত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম প্রকাশনা সংস্থা ফরাসি প্রতিষ্ঠান হ্যাসেটের সঙ্গে অ্যামাজনের চুক্তি নিয়ে। অ্যামাজন হ্যাসেটের কোনো বই ৯ দশমিক ৯৯ ডলারের বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না বলে জানালে হ্যাসেট এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। সেখান থেকেই মতবিরোধের সূচনা।
এর পাশাপাশি অ্যামাজন অনলাইনে বইয়ের প্রচারণার জন্য আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ দাবি করছে হ্যাসেটের কাছে। আর যেসব বইয়ের মুদ্রিত সংস্করণ শেষ, সেগুলো যেন অ্যামাজন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ছাপাতে পারে সেই দাবিও করা হয়েছে, যা হ্যাসেট মেনে নেয়নি।
গত মে মাসে সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে, যখন বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক জে কে রাউলিংসহ প্রখ্যাত আরও অনেক লেখকের বই অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে কিনতে পাওয়া যাচ্ছিল না। হ্যাসেটের মূল প্রাতিষ্ঠানিক মালিক ল্যাগার্দের অভিযোগ, অ্যামাজনে ক্রেতারা বই কিনতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হ্যাসেটের বই বিক্রির পরিমাণ ২০১৪ সালের প্রথম ছয় মাসে কমে এসেছে।
হ্যাসেটের সঙ্গে অ্যামাজনের এই ঝামেলা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে অন্য প্রকাশকদের কপালে, যাঁরা খুব শিগগির অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের আলোচনায় বসবেন।
অ্যামাজনের দাবি, এই চুক্তি হলে লাভবান হবেন লেখক, প্রকাশক, পাঠক সবাই। তাঁরা বলছেন, ওপরে উল্লিখিত দামে বই বিক্রি করা হলে লেখক পাবেন ৩৫ শতাংশ, প্রকাশক পাবেন ৩৫ শতাংশ এবং অ্যামাজন পাবে ৩০ শতাংশ।
অ্যামাজন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, একটি বই বিক্রি করতে ভিডিও গেমস, টেলিভিশন, সিনেমা, ফেসবুক, বিনা মূল্যের ওয়েবসাইটের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয়। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বইয়ের দাম কমানোর কোনো বিকল্প নেই।
ই-বইয়ের দাম কমানো হলে তা সবার জন্য লাভবান হবে বলে মনে করে অ্যামাজন। কারণ হিসেবে তারা বলছে, এর ফলে বইয়ের বিক্রি বাড়বে এবং আয় বেশি হবে ১৬ শতাংশ, যা প্রকাশক ও লেখকেরাই পাবেন।
কিন্তু অ্যামাজনের এসব যুক্তি প্রকাশকদের তুষ্ট করতে পারছে না। প্রকাশকেরা মনে করেন, ই-বইয়ের দাম কমলে একদিকে এসব বইয়ের বিক্রি বাড়বে, কিন্তু ছাপানো বইয়ের চাহিদা কমে যাবে। যেসব লেখক ও প্রকাশক ছাপানো বইয়ের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা এ প্রস্তাব মেনে নেবেন নাএটাই স্বভাবিক।
হ্যাসেটের বিভিন্ন বিখ্যাত লেখকের বই বিক্রির প্রতিনিধি এড ভিক্টর বলেন, মুদ্রণ প্রকাশনার ওপর এটি ডাকাতি।
তবে অ্যামাজনের এই উদ্যোগকে সমর্থনও দিচ্ছেন অনেক লেখক, যাঁরা নিজ উদ্যোগে বই প্রকাশ করে থাকেন এবং যাঁদের বই বিক্রি অনলাইন বিক্রির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এমন একজন লেখক হিউ হাউই বলেন, অ্যামাজনের মাধ্যমে অনলাইনে বই প্রকাশ করে একজন লেখক ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ পান, সেখানে ছাপা হওয়া বইয়ের ক্ষেত্রে পান মাত্র ২৫ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, প্রকাশকেরাই লাভের অধিকাংশ অংশ পাচ্ছেন, আর মাশুল গুনছেন ক্রেতা ও লেখকেরা।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এবং প্রথম আলো।

=============
মুজিব ইরমের শ্রীশ্রীকবিবংশচরিতামৃত

এই বছর বইমেলায় ধ্রুবপদ প্রকাশনী, রুমী মার্কেট, ৬৮-৬৯ প্যারীদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে আমার নতুন কবিতার বই কবিবংশ। প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু৷ চার ফর্মার এই গ্রন্থে ১টি ভূমিকা এবং ২টি দীর্ঘ কবিতা সহ মোট ৪৯টি কবিতা গ্রন্থিত হয়েছে, যা গেলো ৬/৭ বছর সময় সীমায় লিখিত ও বিভিন্ন লিটলম্যাগ, সাহিত্য পাতা, ওয়েভ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।
যতদূর মনে পড়ে ২০০৭ সালের সম্ভবত মার্চের কোনো এক মধ্যরাতে কবিবংশ লিখতে শুরু করি। এমন এক ঘোরের ভিতর কবিতাটি লিখতে থাকি, মনে হচ্ছিলো হয়তো মনের ভিতর জিইয়ে রাখা শতাধিক পৃষ্ঠার একক কবিতার বইটি অনেক দিন পর রচিত হতে চলেছে। কিন্তু পর পর কয়েক দিনে টানা গদ্যে, পয়ারের চোরা স্রোতে ১০/১২ পৃষ্ঠা লেখার পর হঠাৎই থেমে যায়, মনে হয় কবিতাটি এখানেই শেষ। আর কিছু বলার নেই। ১ কবিতায় ১ বইএর চিন্তা মাথা থেকে উধাও হয়ে যায়। কবিবংশ নামের সেই দীর্ঘ কবিতাটি পরে ২০০৮ সালে প্রকাশিত আদিপুস্তক গ্রন্থে গ্রন্থিত হয়।
কয়েক দিনের ভিতর দীর্ঘ কবিতাটির আপাত সমাপ্তি ঘটে ঠিকই, কিন্তু মাথার ভিতর কবিবংশের বীজ থেকেই যায়। কবিতাটি কাটাকুটি চলে, এর কয়েকটি রূপ লিটলম্যাগে প্রকাশিতও হয়, তারপরও কবিবংশের বীজ মাথা থেকে উধাও হয় না। দিনরাত বড়ো জ্বালাতন করে। গেলো ৬/৭ বছর কিছুতেই মাথা থেকে সরাতে পারি নি বলেই একে একে লিখিত হয় এই সব কবিতা, যা পরে কবিবংশ নামের এই পান্ডুলিপিতে রূপ পায়।
কবিতা নামক এক কুহকের ভিতর দৌড়াতে দৌড়াতে সেই যে হঠাৎ মধ্যরাতে মনে হয়েছিলো, পৃথিবীতে আর কোনো ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নেই, আর কোনো পরিচয় নেই, আমি তো কবিবংশের লোক, হাজার-কোটি বছর আগেও আমি ছিলাম, এখনও আছি, হাজার-কোটি বছর পরেও থাকবো। সেই থেকে রক্ত সম্পর্ক, ধর্ম সম্পর্ক, ভৌগোলিক সম্পর্ক ত্যাগ করে হয়ে উঠি এক অলৌকিক বংশের লোক, কবিবংশের লোক। এই বংশের সবাইকে বইটি পড়ার জন্য আকুল আমন্ত্রণ রইলো। কবিবংশের জয় হোক।

সংযোজন : ভূমিকাপত্র
মাঝেমাঝে ভাবি, আমার জন্মরোগ বোধ হয় স্মৃতি ও শৈশব। মনে হয়, সুইজারল্যান্ডের সেই পাহাড়ি শ্রমিকদের ভিতর আমিও তো একজন ছিলাম- যারা প্রিয় পাহাড়ি আবাস-ভূমি ছেড়ে কাজকর্মের জন্য ফ্রান্স কিংবা ইতালির সমতল ভূমিতে চলে আসতো। ফেলে-আসা নিজেদের বাড়ির জন্য ওরা এতোই স্মৃতিকাতর হতো, গাইতো সেই গান- Kuhreihen আত্মার হাহাকার। Johannes Hofer (১৬৬৯-১৭৫২) তার নাম দিয়েছিলেন mal du pays বা বাড়ির জন্য কাতরতা, ‘সুইস ইলনেস। এমনও হতো, গান গাইতে গাইতে একদিন ওরা সুস্থতা হারাতো, প্রাণহীন হতো। সেই করুণ সংগীত, সেই শেকড়ের হাহাকার, সেই আত্মার রোদন কর্ম-প্রভূরা রোগের হেতু ভেবে ওদের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু আজও আমি রক্তে সেই গীত খলবল করতে দেখি, যেন ঐড়ভবৎ কথিত মধ্যযুগের সুইস ইলনেসনয় নালিহুরী ইলনেসআমাকে বড়ো বেছইন করে রাখে। কৈশোরের কোনো এক বৃষ্টি-ভেজা দিনে সেই যে ছেড়ে এলাম নিজ সাং নালিহুরী, নগর-বন্দর করে করে আর-তো ফেরা হলো না! এই যে এতো করে গেয়ে চলছি দিনের পর দিন স্মৃতি ও শৈশব, ফেলে-আসা গ্রাম, ভাষা ও ফেরার আকুতিÑ তাহলে কি সেই দলে আজও আমি মিশে আছি অজান্তেই? গেয়ে চলছি গান, সুরের জখম? কেউ-তো আমার জন্য এই গীত নিষিদ্ধ করেনি, করছে না! গেয়ে গেয়ে আমি শুধু সুস্থতা হারাচ্ছি। আমার কি আর এসবের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু রচনা করা সম্ভব? Ñতাই-ই তো ভাবছি এই দূরবাসে, দূরের নগরে। লিখছি সব শৈশব-উন্মোচনের ব্যর্থ কবিতা- বন্ধুরা বড়ো মায়া করে বলে ডায়াস্পোরা-কবিতা।

-----------------------



নিষিদ্ধ তাসলিমা নাসরিনের ৬টি গ্রন্থ

যদ্দূর জানা যায়, বিশ্বে একমাত্র তাসলিমা নাসরিনের সব চেয়ে বেশি বই নিষিদ্ধ হয়েছে। যার পরিমাণ ৬টি। সেগুলো হলো- লজ্জা, আমার মেয়েবেলা, উতল হাওয়া, ক, দ্বিখন্ডিত এবং সেই সব অন্ধকার।

নন্দিত এবং নিন্দিত নাসরিনের ৫টি বই বাংলাদেশসরকার নিষিদ্ধ করে ১৯৯৩ সালে লজ্জা, ১৯৯৯ সালে আমার মেয়েবেলা, ২০০২ সালে উতল হাওয়া ২০০৩ সালে ক, ২০০৪ সালে সেই সব অন্ধকার। আর পশ্চিম বঙ্গ থেকে ২০০৩ সালে নিষিদ্ধ হয়- ‘দ্বিখন্ডিত’।
মৌলবাদীদের কারণে লজ্জা, অশ্লীলতার অভিযোগে আমার মেয়েবেলা, ইসলাম বিরোধী তথ্য থাকার অভিযোগে উতল হাওয়া, সৈয়দ শামসুল হক তসলিমার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানীর মামলার রায়ে ক, ইসলাম ধর্ম ও হযরত মুহাম্মদ (স:) সম্পর্কে কূটক্তি থাকায়  দ্বিখন্ডিত এবং এন্টি-ইসলামিক বিষয় থাকার অভিযোগে কারণে সেই সব অন্ধকার বাজেয়াপ্ত হয়।






বাংলাদেশের কবিতা
অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান

বাংলাদেশের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ প্রায় নেই বললেই চলে। সেই অভাব দূর করার জন্য সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান আগেওবের করেছিলেন সিলেক্টেড পয়েমস। এবার তিনি অনুবাদ এবং সম্পাদনান করলেন- “Anthology of Contemporary Poems ঃThe Twentieth Century। 

এতে যাঁদের কবি আছে, তাঁরা হলেন- আবুল হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, আল মাহমুদ, মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, রফিক আজাদ, শহীদ কাদরী, হেলাল হাফিজ, হায়াৎ সাইফ, আসাদ চৌধুরী, আল মিজাহিদী, সৈয়দ শামসুল হক, মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, মুনির সিরাজ, মতিন বৈরাগী, সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান, মাকিদ হায়দার, রফিক নওশাদ, হাবিবুল্লাহ শিরাজী, খুরশিদ আনোয়ার, জাহানারা বারী, মঈন চৈধুরী, মুহাম্মদ মোহাম্মদ নুরুল হুদা, কাজী রোজী, আবিদ আনোয়ার, অসীম সাহা, জাহিদুল হক, ময়ূখ চৌধুরী, সৈয়দ হায়দার, খন্দকার আশরাফ হোসেনক, রবীন্দ্র গোপ, দাউদ হায়দার, বিমল গুহ, নাসির আহমেদ, শিহাব সরকার, আফরোজা অদিতি, সারাহ বাণী সুচি, মোরশেদ শফিউল হাসান, নিতাই সেন, মাইনুদ্দিন কাজল, হাসান হাফিজ, মোশাররফ হোসেন জামিনে মুক্ত আছেন, শাহাবুদ্দিন নাগরী, দিলারা হাফিজ, ইকবাল আজিজ, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, জাহিদ হায়দার, মোহন রায়হান, সরকার মাহবুব, মুহাম্মদ সামাদ, ফরিদ আহমেদ দুলাল, খালিদ আহসান, কামাল চৌধুরী, আসাদ মান্নান, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, মাহমুদ কামাল, আসলাম সানী, ওয়ালি কিরণ, আশরাফুল মোসাদ্দেক, ঝর্ণা রহমান, পরিতোষ হালদার, মিনার মনসুর, মাসুদ খান, হাফিজ রশিদ খান, সরকার মাসুদ, সালেম সুলেরী, কামরুল হাসান, বিলু কবির, সা হাসান, রেজাউদ্দিন ষ্টালিন , জুয়েল মাজহার, তারিখ সুজাত, শিহাব শাহরিয়ার, আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ, কামরুল কামরুল বাহার আরিফ, তাপস গায়েন, ফরিদুর জামান, পুলিন রে, সরকার আমিন, শিমুল মাহমুদ, হাসান আবদুল্লাহ, সাজ্জাদ কাদির, মতিন রায়হান, তুষার গায়েন, কাকলী ওয়ে, তপন বাগচি, জনগণের ম্যান্ডেট মুন্নি, শেলী নাজ, তৎকালীন আহমেদ, খলিল মজিদ, মানিক বৈরাগী, বিনয় বর্মন, মুজিব ... ওবায়েদ আকাশ, তানিয়া হোসেন, রোকন জহুর, খান নুরুজ্জামান, কালাম আজাদ, বীরেন মুখার্জী, চারু হক, দুপুর মিত্র, ফেরদৌস নাহার, হেনরি স্বপন, মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, নাসিম জাহান নীনা, রহমান হেনরি, রঞ্জনা বিশ্বাস, শামীম হোসেন, শিপ্রা গোস্বামী, সুব্রত অগাষ্টিন গোমেজ, তুষার প্রসুন, আয়েশা ঝর্ণা, মুজিব ইরম, প্রমুখ।

=========
কালের নায়কআহমদ ছফা

লেখক-বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফার জীবনকে কেন্দ্র করে গাজী তানজিয়ার উপন্যাস কালের নায়কঅ্যাডর্ন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

বইটি সম্পর্কে অ্যাডর্ন থেকে জানানো হয়,  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ২০০১-এর এই দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক পটভূমিকায় বেড়ে ওঠা সদা সরব একজন লেখক-বুদ্ধিজীবী ছিলেন আহমদ ছফা। তাকে নিয়ে সর্বোপরি একজন পুরুষোত্তম মানুষের জীবনচরিত উপন্যাস কালের নায়ক।

আহমদ ছফাকে নিয়ে উপন্যাস লিখলেন কেনপ্রশ্ন করা হলে গাজী তানজিয়া বলেন, ‘ছফার প্রতি আগ্রহ ও ব্যক্তিগত ভালোলাগা থেকেই গত ২ বছরে তাকে নিয়ে ইতিহাসভিত্তিক এ উপন্যাসটি লিখি।

------------------
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম, বৃহত্তম এবং দামী বই


পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বইঃ
বইটির নাম 'ফ্লাওয়ারস অব ফোর সিজনস'। ২২ পৃষ্ঠার এ বইটি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বই। মাত্র ০.৭৪ মিলিমিটার চওড়া ও ০.৭৫ মিলিমিটার লম্বা ক্ষুদ্রতম এ বইটি ছাপিয়েছে 'তোপ্পান প্রিন্টিং কোম্পানি' নামের জাপানের এক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাজারে আসা বিভিন্ন ফুলের ছবিসংবলিত এ বইটি প্রাথমিক অবস্থায় ২৫০ কপির মতো ছাপা হয়। মজার ঘটনা হলো, বইটি কিনতে গেলে এর সঙ্গে আপনি পাবেন একটি আতশী গ্লাস। গত বছরের জুন মাস পর্যন্ত বইটির প্রায় ১৪৯ কপি বিক্রি হয়েছে। ক্ষুদ্র এ আকৃতির জন্য বইটি প্রকাশের পরপরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেয়।

সবচেয়ে বড় বই:
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বইটির নাম ইংগল পাপিয়ান ২২৯৩৭ পরিচ্ছেদে বিভক্ত এই বইয়ের ১১ হাজার ৯৫টি খন্ড আছে বিশাল এই বইটি রচনা করতে ২০ হাজার চীনা ভিক্ষু প্রায় ১০ বছর শ্রম দেন

সবচেয়ে দামী বই:
বিশ্বের সবচেয়ে দামী বইটির নাম 'দ্য গসপেল অব বুক হেনরি দ্য লায়ন ডিউক অব স্যাক্সনি' বইটি ১৯৮৩ সালে ১৪ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়
----------------
পেইন্টিং করা গ্রন্থ

বহু পুরনো একটি বইয়ের 'ফোরএজ পেইন্টিং'। ধারণাই করা যায় না এতো পুরনো আমলে বইয়ে এমন ধরনের শিল্প চর্চা হতো। ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ার কলিন থেইসেন নামের এক পাঠিকা বইটি খুঁজে পেয়েছেন। 
বইটি ১৬৫০ সালের দিকে তৈরি করা হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বইটির পাতাগুলো ভিন্ন ভিন্ন কোণে ধরলে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে।
----------------
বিনামূল্যে বাংলা বই পড়ার কয়েকটি ওয়েবসাইট


১। বইয়ের দোকান: (www.boierdokan.com)
২০০৯ সালে প্রথম চালু হলেও টেকনিক্যাল কারণে খুব একটা বেশি বই আপলোড হয়নি । ২০১১ সালে পুনরায় নতুন আঙ্গিকে শুরু হয় বইয়ের দোকান। বইয়ের দোকানের উঠানে গিয়ে দাঁড়ালে উপন্যাস, কবিতা, গল্প, সমালোচনা, নাটক, নন-ফিকশন প্রভৃতি বইয়ের দরজাগুলো দেখাবে। দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলেই অজস্র বই। ফ্রি ডাউনলোড করে করতে পারবেন বইগুলো। আর ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো বইয়ের দোকান ই-বইমেলার আয়োজন করেছিলো।

২। আমার বই: (www.amarboi.com)
এই সাইটে ফ্রি বই থাকলেও সব বই ফ্রিতে পাওয়া যায় না। প্রতি বছরের জন্য ২৪.৯৯ ডলার ফি দিয়ে প্রিমিয়াম সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রিমিয়াম সদস্যদের বই ডাউনলোডের সুযোগ-সুবিধা একটু বেশিই।

৩। সোভিয়েট বইয়ের অনুবাদ: (www.sovietbooksinbengali.com)
তলস্তয়, দস্তোয়ভস্কি, নিকোলাই অস্ত্রভস্কি, আর্কিদি গাইদার কিংবা ম্যাক্সিম গোর্কি সহ আর আর রুশ লেখকদের বইয়ের অনুবাদ পাবেন এই সাইটে। রুশ উপকথা বা কিশোর সাহিত্যের দুষ্প্রাপ্য বইগুলোও ইলেকট্রনিক ফরমেটে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

৪। অলবাংলাবুকস: (www.allbdbooks.com/viewbook/B/1182/)
এই সাইটে হাজার খানিকের মতো বই রয়েছে। ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবেন গল্প, উপন্যাস, ম্যাগাজিন, রহস্যপত্রিকা এবং সেবা প্রকাশনীর প্রিয় বইয়ের কিছু।

৫। বাংলা ইন্টারনেট: (www.banglainternet.com)
বাংলা ইন্টারনেট বইয়ের পাশাপাশি লেখকদেরও সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল যুক্ত করা রয়েছে। ফলে শুধু বই-ই না, লেখক সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় তথ্য আপনি পেতে পারেন বাংলা ইন্টারনেট থেকে।

৬। দ্য বাংলাবুক: (www.thebanglabook.com)
দেড় হাজারের মতো বই রয়েছে এই সাইটে। লেখক অনুসারে সাজানো বইগুলো থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্রিকা।

*প্রিয়.কম সৌজন্যে

================

নারীর চামড়া দিয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ




গল্প নয়, সত্যি। মানুষের চামড়া দিয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ করা হয়েছে। জানা গেছে, হার্ভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে এ রকম তিনটি বই আছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তার মধ্যে একটি বইয়ের কভার জড়ানো নারীর চামড়া দিয়ে। তা হচ্ছে- ফ্রেঞ্চ ঔপন্যাসিক আর্সেন হোইসি-এর লেখা দাস ডেস্টিনিস ডে এলইন’ বইয়ের প্রচ্ছদ মোড়ানো। 
উল্লেখ্য, ১৮৮০র দশকের মাঝামাঝি সময়ে আত্মা নিয়ে ধ্যান এবং পরকালীন জীবনকে বিষয়বস্তু করে লেখা বইটি একজন চিকিৎসক বন্ধুর কাছে দিয়েছিলেন লেখক। বইপ্রেমী ওই চিকিৎসক লুডবিক বোল্যান্ড এক অপরিচিত মানসিক সমস্যাগ্রস্ত নারীর চামড়া দিয়ে বাঁধাই করেছিলেন বইটি। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছিল। কেন এই উদ্ভটকাজটি করেছিলেন ওই ব্যাখ্যাও বইয়ের ভতর দিয়ে গিয়েছিলেন ডাক্তার বোল্যান্ড।
এই তথ্য জানা গেছে গত ০৫ জুন টাইমস অফ ইন্ডিয়া থেকে।

==============
যেখানে বাংলা বইমেলা, সেখানেই বাংলাপ্রকাশ

আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলা ২০১৪, নিউইয়র্ক উপলক্ষে বাংলাপ্রকাশ থেকে বেরুলো হাসান ফেরদৌস, ফারুক ফয়সল ও ইকবাল হাসান সম্পাদিত "স্বনির্বাচিত উত্তর আমেরিকার বাঙালি লেখকদের রচনা সংকলন"


৩৮ জন প্রবাসী লেখকের লেখায় সমৃদ্ধ এই সংকলনে রয়েছে প্রবন্ধগল্প ও কবিতা। লেখকরা হলেন, প্রবন্ধঃ বেলাল বেগ, মনজুর আহমদ, সেলিম জাহান, মুত্তালিব বিশ্বাস, সাদ কামালী, কবীর আনোয়ার, শিখা আহমাদ, ফাহীম রেজানূর, হায়দার খান, হাসান ফেরদৌস, জয়ন্ত নাগ, বিশ্বজিত সাহা, জসিম মল্লিক, ফারুক ফয়সল ও মাহফুজুর রহমান (তিনি এবছর বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন)।
কবিতাঃ সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, মাসুদ খান, ফেরদৌস নাহার, শামস আল মমীন, মনজুর কাদের, শিবলী সাদিক, রাকীব হাসান, বদিউজ্জামান নাসিম, জুলি রহমান, কাউসারী মালেক রোজী, মণিকা রশিদ ও সেজান মাহমুদ।
গল্পঃ পূরবী বসু, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, আলোলিকা মুখোপাধ্যায়, ফেরদৌস সাজেদীন, সালমা বাণী, মীজান রহমান, ইকবাল হাসান, নাহার মনিকা, রওশন জামিল, আবু রায়হান ও আদনান সৈয়দ।

বইটির প্রকাশক প্রকৌশলী মো মেহেদী হাসান, বাংলাপ্রকাশ। 

==============
অধ্যাপনা করছেনঘুরছেনলিখছেনগবেষণা করছেন..



রফিক উল্লাহ খান অধ্যাপনা করছেন। ঘুরছেন। লিখছেন। গবেষণা করছেন। একের পর এক বই বের হচ্ছে। যেমন- ছোটদের সাহিত্য পরিচয়, স্মৃতিকথায় কাজী নজরুল ইসলামমাইকেল রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য, নজরুলের উত্তরাধিকা ও আধুনিক বাংলা কবিতাকবিতা ও সমাজ, আখ্যানতত্ত্ব ও চরিত্রায়ন, সাহিত্য বিলাস, রবীন্দ্র বিষয়ক ইত্যাদি। সম্পাদনা করেছেন- তিন দশকের কবিতা।
 .

========================================

৭১ নিয়ে লেখা বই:
আমেরিকান লেখকের কানাডিয়ান পুরস্কার লাভ 

আমাদের ১৯৭১ নিয়ে লেখা ব্লাড টেলিগ্রামঃ নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটেন জেনোসাইডগ্রন্থটি ২০১৪ সালের জন্য কানাডিয়ান পুরষ্কার 'লাওনেল গেলবার প্রাইজ' অর্জন করলেন অমেরিকান লেখক গ্যারি ব্যাস। এই বইটিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, মানবতা এবং নিক্সন, কিসিঞ্জারের ভূমিকা তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, এ পুরস্কারটি কানাডার প্রয়াত কূটনীতিক লাওনেল গেলবার (১৯০৭-১৯৮৯) স্মরণে ১৯৮৯ সালে প্রবর্তিত। পুরস্কারজয়ীর জন্য রয়েছে ১৫ হাজার ডলার। প্রতি বছর তা ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন ও টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঙ্ক স্কুল অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় লাওনেল জেলবার ফাউন্ডেশন থেকে দেয়া হয়। নিউজার্সির প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও পররাষ্ট্রনীতির অধ্যাপক গ্যারি ব্যাস পুরস্কারটি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্বল কনফারেন্স হল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছেন। পুরস্কারের জুরিবোর্ডে ছিলেন- জুরি চেয়ারম্যান উইলিয়াম থরসেল (কানাডা), সদস্য ২০১৩ সালের লাওনেল জেলবার পুরস্কারজয়ী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (টরন্টো, কানাডা), টিমোথি গার্টন অ্যাশ (অক্সফোর্ড, ইংল্যান্ড), ডেনিয়াল ডব্লিউ ড্রেজনার (ম্যাসাচুসেটস, ইউএসএ)এবং ম্যাটিয়াস স্পেকটর (ব্রাজিল)। 




.একাত্তরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্থার কেন্ট ব্লাড কর্তৃক ওয়াশিংটনে প্রেরিত ব্লাড টেলিগ্রামগুলো স্নায়ু যুদ্ধকালীন হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ কর্মপ্রণালীকে তুলে ধরে। বইটিতে লেখক দেখিয়েছেন- কীভাবে পাকিস্তানের সামরিকজান্তা ইয়াহিয়া খান ঐতিহাসিকভাবে অনুষ্ঠিত একটি মুক্ত নির্বাচনের ফলাফলকে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। তাতে লাখো মানুষকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়। এক কোটি মানুষের প্রতিবেশী ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে ছিল এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। নিক্সন ও কিসিঞ্জার সেই ব্লাড টেলিগ্রাম’ উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সামরিকজান্তাকেই সমর্থন জোগান। কেবল স্নায়ুযুদ্ধের রাজনৈতিক হিসাব মেলাতে ভারত ও তার নেত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে ব্যক্তিগত অপছন্দ থেকে নিক্সন ও কিসিঞ্জার পাকিস্তান সরকারকে সমর্থনসহ একটি ভয়াবহ যুদ্ধের পাণে ভারতকে ঠেলে দেন। এছাড়াও নিজের দেশের প্রতিবাদী এই কূটনীতিককে নিস্তব্ধ করার পাশাপাশি গোপনে চীনের সৈন্য বাহিনী ভারত সীমান্তে মোতায়েনে উৎসাহ প্রদান এবং অবৈধভাবে পাকিস্তানকে অস্ত্র দেন। লেখক গ্যারি ব্যাস তার বইয়ে সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক হোয়াইট হাউসের টেপ শুনেডি-ক্লাসিফাইড নথি-পত্র দেখেহোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এবং ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই নাটকীয় ও আলো-আঁধারি চিত্রটি পুরোপুরি চিত্রায়ণ করেছেন। 


========================================


স্ববিরোধী গ্রন্থঃ Prison Journey A Memoir



পাকসেনা ব্রিগেডিয়ার ফারুক বি আলী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে ভুট্টো ভূপাতিত করার চেষ্টা অভিযোগে জেলখানায় কাটান পাঁচ বছর। পরে কারাদন্ড শেষ করে কানাডা এসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। এ ভাবে তার মতো আরো বেশ কিছু পাকসেনা কানাডার অবস্থা করছেন। 

 


ব্রিগেডিয়ার ফারুক বি আলীও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি করেন। Prison Journey A Memoir নামে তার একটি গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। যুদ্ধ অপরাধীইয়াহিয়া আর ভুট্টোর অপকর্মের নিন্দা জানিয়েন। অপর দিকে স্ববিরোধী ভাবে একাত্তরের যুদ্ধে নিজেকে তারাকাবানিয়ে আত্মবীরত্বজাহির করেছেন বিভিন্ন লেখায়! নিজেকে তুলশি পাতাবানিয়ে অন্যদের দোষারোপ করেন। (দ্রঃ Conduct Unbecoming By Brigadier F. B. Ali (Red.) Published in the monthly 'News Line' Karachi of Dec: 10) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন